প্রকাশিত: ১৮/০১/২০১৮ ৯:০৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৫৬ এএম

 

এ.এম হোবাইব সজীব::

সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী ও দখলবাজী বন্ধ করতে কক্সবাজারের মহেশখালীর পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা উচ্ছেদে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। গেল তিন দিনে অন্তত ৭টি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ। মহেশখালী থানার চৌকষ ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে এতে ৫৫জন পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও দখলবাজী বন্ধ করে উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহেশখালীর পাহাড়ে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। তিন দিনের অভিযানে কেউ গ্রেফতার না হলেও অন্তত সন্ত্রাসীদের ৭টি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। ১৬ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে এ অভিযান শুরু হয়। পুলিশের দফায় দফায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

বর্তমানে মহেশখালী থানার এসআই জহির এর নেতৃত্বে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজী পাড়া বাজারে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প কাজ করলেও সম্প্রতি দুইটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় এ এলাকায়। এ দুইটি সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের আস্তানা থেকে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী করে আসছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়িরা। ১৬ জানুয়ারী পুলিশ পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ৪টি আস্তানা ধ্বংস করেছে কালাগাজী পাড়ায়।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) কালারমারছড়ার আধাঁরঘোনা, নোনাছড়ি ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনা ও টেকপাড়া ৩টি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। নোনাছড়ি ব্যবসায়ী মনজুর আলম জানিয়েছেন, এই তিন গ্রামের পশ্চিমাংশের অধিকাংশ লবণ জমি এখন দখলবাজদের নিয়ন্ত্রণে। পাহাড়ি আস্তানা থেকেই সন্ত্রাসিরা এ সব দখলবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। যার পেশী শক্তি যত বেশী তার দখলে জমিও ততবেশী। জমির প্রকৃত মালিকরা সন্ত্রাসীদের কাছে অসহায়। কক্সবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে অনেকে অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাচ্ছে না জমির মালিকরা। এক সন্ত্রাসী এলাকা ছাড়া হলে অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপ পুনরায় এলাকায় নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে

।সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনাতিতে সাধারণ মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে। পুলিশের অভিযান শেষ হলে অজ্ঞাত স্থান থেকে বেরিয়ে আসে সন্ত্রাসীরা।

অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার মহেশখালী থানার কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর চৌকষ ইনর্চাজ এ.এস আই শাওনের নেতৃত্বে পুলিশের টহল ছিল জোরদার। তার গ্রেফতার আতংকে দাগী অপরাধীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত কালারমারছড়ার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই শাওন দাশ জানিয়েছেন, কোন সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না অভিযান চলবে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, অভিযান আরো জোরদার হবে। যেভাবেই হোক মহেশখালীকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে চাই। সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সবকটি আস্তানাই চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গাজীপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার ...

উখিয়া বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান সিকদারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি উখিয়া উপজেলা শাখার সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান সিকদার এর আবেদন ...

নাইক্ষ্যংছড়িতে নতুন সদস্য ও নবায়ন কর্মসূচীতে জাবেদ রেজাবিএনপি পরিচয়ে চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজির স্থান নাই

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরাতনদের ...